আমার জানা মতে অনেক পাইলস রোগী কোলোনোস্কোপি পরীক্ষার ভয়ে ডাক্তারের নিকট না গিয়ে রোগ নিয়ে কষ্ট সহ্য করে, এবং গোপনে গোপনে ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করে। ফলে রোগ বেড়ে তিল থেকে তাল হয়। কখনো অপারেশনের প্রয়োজন হয় কিংবা রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে।
যদিও কোলোনোস্কোপি পরীক্ষাটি একটু কষ্টকর এবং পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়, কিন্তু সুখবর হলো পায়ুপথে যত রোগ হয় তার ৮০-৯০% ক্ষেত্রে কোলোনোস্কোপির প্রয়োজন হয় না, আর পাইলস এর ক্ষেত্রে তো নয়ই।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রোক্টোস্কোপি করে রোগ সফলভাবে নির্ণয় করা সম্ভব, যা ব্যথাহীন এবং পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়না। রোগ নিয়ে অবহেলা করা, লজ্জা করা, পরিবারের কারোর সাথে শেয়ার না করা, ভালো ডাক্তারের কাছে না যাওয়া বোকামি। তাই রোগ নিয়ে সময় ক্ষেপণ না করে কলোরেকটাল ডাক্তারের নিকট প্রথমেই গিয়ে অতি সহজেই ভালো হতে পারেন।
ডা. মর্জিনা আক্তার
প্রতিষ্ঠাতা
ঢাকা পাইলস কিউর সেন্টার